ART-004
Apple: রাতে নাকি সকালে, কোন সময় আপেল খাওয়া ভালো ? - TBS HerbTrove Apple: রাতে নাকি সকালে, কোন সময় আপেল খাওয়া ভালো ? - TBS HerbTrove
Home » Home > Wellness Tips > When You Should Have Apple

Apple: রাতে নাকি সকালে, কোন সময় আপেল খাওয়া ভালো ?

অনেকেই রাতে ফল খাওয়ার অভ্যেস রাখেন। বিশেষ করে, যারা একটু স্ট্রিক্ট ডায়েট করছেন। ভাত বা রুটির বদলে আপেল (Apple) খেলে সমপরিমাণ, কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। একটা সুবিধা আছে, তাতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। যেহেতু চাল বা গম একটা অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরে বাড়তে সাহায্য করে, আপেলের (Apple) মতো ফল খেলে সেটার সম্ভাবনা কম হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, রোজ রাতে কি আদৌ আপেল খাওয়া ঠিক ? এর ফলে অন্য কোনো রোগকে অজান্তে, আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না তো ? চলুন, পুরো বিষয়টি নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ-সহ আপেল প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে। ফলে, খিদের সময় একটা মাঝারি আকারের আপেল একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট। Weight Loss: ওজন কমছে না, সারাদিন ক্লান্তি, ফুলছে পেট – জানেন কেন ?

উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক (GI) সহ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে ট্রিপটোফানের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা মেলাটোনিন এবং সেরোটোনিন বৃদ্ধি করে। এই হরমোনগুলি ঘুমের জন্য বাড়তি সুবিধা প্রদান করে। তাই যাদের রাতে ঘুম কম হয়। নিয়মিত আপেল খেলে সেই সমস্যা অনেকটা কম হয় যায়।

তবে এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে কি রাতে আপেল (Apple) খেলে কোনো সমস্যা হবে না ? বা, রাতে ঘুমনোর আগে আপেল কি খাওয়া যায় ? তাতে কি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে ? এই সব প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া সম্ভব না। এটা ঠিক যে রাতে আপেল খেলে, সব সময় যে তা শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে, তা নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব থাকে। এই যেমন ভালো ঘুম হওয়া। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। তবে সমস্যা অন্যত্র।

ডিনারে আপেল (Apple) রাখা ভালো নাকি ভালো না?

অনেকেই আছেন, যারা রাতের খাওয়ার অনেক দেরি করে করেন। এই যেমন রাত ১০-১১ টার পর। এখন এই সময় যারা ডিনার করছেন, তারা যদি খাবারের প্লেটে আপেল রাখেন, তাহলে সেটা কিন্তু অবশ্যই স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মোটেই ভালো না। কেন ? দেখুন, বেশি রাতে যাদের খাওয়ার অভ্যেস, তাদের ফ্যাটবার্ন তুলনামূলক ভাবে অন্যদের থেকে কম হয়। তাতে কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে। মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবার আসা যাক আপেলের বিষয়। সামান্য পরিমাণে খনিজ উপাদান পটাশিয়াম থাকে আপেলে। এর এই পটাশিয়ামই যত সমস্যার কারণ। এছাড়াও আপেলে থাকা ফাইবার অনেকের হজম শক্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়।

এই যেমন, বদহজম, পেট ফাঁপা, গ্যাস ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেয়। একইসঙ্গে আপেলে থাকা অ্যাসিডিটি অ্যাসিডের কারণে রিফ্লাক্স বা বুক জ্বালার মতো রোগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দিনের বেলা, এইধরনের উপদান কোনো সমস্যা তৈরি করে না। কিন্তু যাদের নুন্যতম হজমের সমস্যা রয়েছে , তারা যদি আপেল খাওয়া শুরু করে, তাহলে সেটা মারাত্বক খারাপ হবে। Benifits of Cinnamon in Daily Diet

এছাড়াও আপেলে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশি থাকে। ফলে, যারা ডায়বেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত তাদের এই ধরণের ফল রাতে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। কারণ রাতে, যেহেতু দিনের বেলার তুলনায় হজমশক্তি একটু কম কাজ করে, তাই আপেলের কারণে শরীরে রক্তের শর্করা বেড়ে যায়। ফলে ডায়বেটিসের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে।


সুতরাং রাতে আপেল খাওয়ার ভালো এবং খারাপ, দুই দিক রয়েছে। তবে অবশ্যই তা নির্ভর করছে, আপনে শরীরের পরিস্থিতির উপর। যদি আপনি শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। বদহজমের কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে অবশ্যই খেতে পারেন। কিন্তু সেটা কখনোই রোজ নয়। মাঝে-মধ্যে ২-১ দিনের জন্য ঠিক আছে। আর যদি এই সমস্যাগুলো থাকে তাহলে অবশ্যই সন্ধ্যার পর, আপেল খাওয়ার কথা, একদম ভুলে যান। তবে হ্যাঁ, প্রতিদিনের ডায়েটে যেটাই খাবেন, অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে।

Riya Bhattacharjee

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top